নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ ১০ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন— নুরে আলম ওরফে নুরু (২৬), মো. হায়দার আলী (২৬), রিমন মজুমদার (২২), মো. রবিউল ওরফে রুবেল (২৪), মো. মামুন (২২), মো. বাদশা (২৮), মো. শামীম (২৬), মো. রাকিব (২৬), মো. শাহাদৎ (২৫) ও মোর্শেদ খান ওরফে হৃদয় (২৪)।
র্যাব-৭ জানায়, এই ডাকাত দলটি হাইওয়েতে ডাকাতির সাথে জড়িত। এ দলের বেশিরভাগ সদস্যই চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার এবং জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
তারা সবাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্য কালু শাহ মাজারের পাশে ন্যানো ফ্যাক্টরি করপোরেশনের কাছে অপেক্ষা করছিল। ঈদে ঘরমুখী সাধারণ মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে আটক করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা ছিনতাই করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, রমজান মাস এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষ প্রায়ই মোটা অংকের টাকা নিয়ে চলাচল করে। বিশেষ করে যারা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে তারা ডাকাত দলের মূল টার্গেট। পাশাপাশি তাদের কাছে সীতাকুণ্ড এলাকার এক ব্যবসায়ীর ব্যবসাস্থল থেকে নগদ টাকাসহ যাওয়ার তথ্য ছিল। তারা জানতো ওই ব্যবসায়ী বায়েজিদ লিংক রোড ব্যবহার করে শহর এলাকায় যাবেন। সেভাবে তারা হাইওয়েতে ওই ব্যবসায়ীকে আরও কয়েকটি ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল।
তিনি আরও জানান, আটক দশজনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন ধারায় ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদেরকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।