ঈদের দিন কালবৈশাখীতে সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন ৮জন

ডেস্ক রিপোর্ট :

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে বজ্রপাতের শিকার হয়ে দেশের ছয় জেলায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ মে) দিনের বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের এক জায়গায় মারা গেছে তিন জন।

এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, হবিগঞ্জে, বাগেরহাটে, মেহেরপুর ও কক্সবাজারে একজন করে মৃত্যু হয়েছে।

টাঙ্গাইলের কা‌লিহাতী‌তে ঈদের নামাজ পড়ার আগে নদী‌তে গোসল কর‌তে গি‌য়ে‌ বজ্রপা‌তে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। সকা‌লে উপ‌জেলার দশ‌কিয়া ইউনিয়নের হা‌তিয়া এলাকায় নদীপা‌ড়ে এ ঘটনা ঘ‌টে।

মৃত শিশুরা হলো— ওই এলাকার র‌বিউলের ছে‌লে আরিফ (১১) এবং জুলহা‌সের ছে‌লে ফয়সাল (১২) ও পূর্বপাড়া গ্রা‌মের জুলহা‌সের ছে‌লে ফয়সাল (১৬)। একইভাবে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৬০) সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান।

এ সময় বজ্রপাত ঘটলে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঈদের নামাজ আদায় শেষে সকাল ৯টার দিকে বাবার কবর জিয়ারত অবস্থায় বজ্রপাতের কবলে পড়েন রনি মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রনি মিয়া দুর্গাপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

ওদিকে সকালে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার আগা মাদুরপাল্টা গ্রামে কাঠ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের শিকার হন মহির উদ্দিন শেখ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ। স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মহির উদ্দিন শেখ মোংলা উপজেলার মাদুরপাল্টা গ্রামের বাসিন্দা।

আরেক দিকে সকালে ঈদের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে পথে বজ্রপাতে শিকার হন মেহেরপুর সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক (৫৩) ও তার ভাই মন্টু (৪৮)। এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাককে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে বিকেলে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডীতে বজ্রপাতের কবলে পড়ে শামসুল আলম (৫০) নামে এক লবণচাষীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। বিকেল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বিকেল ৪টার দিকে চৌফলদণ্ডী নতুন মহাল মাঝেরপাড়ায় বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎ বজ্রপাতের কবলে পড়েন শামসুল আলম। অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লবণচাষী শামসুল আলম সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের নতুন মহাল মাঝের পাড়ার ইসমাইলের ছেলে। আহত দেলোয়ার একই এলাকার মৃত আজম আলীর ছেলে।