

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
আতঙ্ক বিরাজ করছে মুহিবুল্লাহর পরিবার ও সংগঠনসহ সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ক্যাম্পে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সাথে টানা ‘ব্লক রেইড’ ও চিরুনি অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সূত্র জানায়, বর্তমান কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিনটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। এতে দুই হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর ক্যাম্পে থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এপিবিএনের নতুন আরও দুটি ব্যাটালিয়ন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যার একটি কক্সবাজারে, অন্যটি ভাসানচরে দায়িত্ব পালন করবে।
ক্যাম্পে নিরাপত্তায় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য ‘ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরি করা দরকার। কারণ ক্যাম্পের অনেকগুলো জায়গায় নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাঁটাতার কেটে ছোট ছোট পথ তৈরি করেছে দুষ্কৃতকারীরা। ফলে বেষ্টনী পেরিয়ে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে আবারও কাঁটা তারের বেষ্টনী পেরিয়ে অনেকে নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হলে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপর নজর রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, ‘উখিয়ার কুতুপালং এর লম্বাশিয়ার যে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়, সেখানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য আগের চেয়ে চার গুণ বাড়ানো হয়েছে। আগে ওই ক্যাম্পে ৭০-৭৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে।
পাশাপাশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। ক্যাম্পে ব্লক রেইডসহ দিনে-রাতে ধারাবাহিক অভিযানও চলানো হচ্ছে। ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকায় মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীরা ক্যাম্পের ভেতরেই আছেন বলে জানান তিনি।’