নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্যাস সংকটে নগরীর হোটেল-রেস্টুরেন্টে বেড়েছে মানুষের বাড়তি চাপ। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর গ্রাহকরা বেকায়দায় পড়ে বাসা বাড়ি থেকে হোটেলে খেতে আসছেন। চট্টগ্রামে মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি।
রোববার (১৪ মে) নগরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খাবারের জন্য মানুষের দীর্ঘ লম্বা লাইন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও মিলছে না খাবার। অনেকে পাঠাও, সহজ ফুড, ফুড প্যাক ও ফুডপান্ডা অ্যাপস এর মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট বা হোমমেড খাবার অর্ডার করছেন।চট্টগ্রামে ৫ শতাধিক রেস্টুরেন্ট এছাড়া প্রায় ৪শ হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর এর তথ্যমতে, নগরীতে এই সংগঠনের তালিকাভুক্ত ২৬১টি খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। এর বাইরে আছে আরও ১৫০টি রেস্তোরাঁ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলায় রেস্টুরেন্ট এর লাইসেন্স নিয়েছে ২৬৪টি, এর অধিকাংশই চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার।
এছাড়াও নগরের অলংকার মোড়, ওয়াসা মোড়, আলকরণ মোড়, পাহাড়তলী কলেজ রোড, চকবাজার, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, আগ্রাবাদ সহ বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকটের কারণে রেস্তোরাঁগুলো থেকে গ্রাহকদের চাহিদামতো খাবার সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
আগ্রাবাদ এলাকায় এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, সিলিন্ডার গ্যাসের দামও বেড়েছে। এজন্য গ্রাহকদের কাছে পর্যাপ্ত রান্না করা খাবার সরবরাহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।
কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১৯ মে পর্যন্ত চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস সংকট থাকবে। বর্তমানে রিজার্ভ থেকে নিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। রিজার্ভে সাধারণত থাকে ৮০ থেকে ৮৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।