চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে প্রস্তুতি মূলক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অনলাইন জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের এলাকাকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) বেলা ৩টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি ভার্চুয়ালিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জুম সভায় চট্টগ্রাম জেলার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপপরিচালক সিপিপি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিও, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

জরুরি সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নগদ অর্থের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সভাকে অবিহিত করেন করেন।

এছাড়াও কারিতাস, ব্রাক, ব্যুরো বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলে জানান।

সভায় জেলা প্রশাসক জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে হাসপাতাল, বিদ্যুৎ,গ্যাস, পানি ও সিটি কর্পোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সকল দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশগ্রহণ, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা, যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সাথে ও জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নাম্বারে যোগাযোগ করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসক জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার সম্ভাব্য প্রাথমিক চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম জেলাধীন সকল (১৫ টি) উপজেলায় ত্রাণ কার্য হিসেবে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।