কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম ভোমরিয়া ঘোনা এলাকা টিনের ঘরের বীমের সাথে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় শাবনুর আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।শাবনুর আক্তার ওই এলাকার আমির হোছেনের কন্যা বলে জানা গেছে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এসআই শামীম আল মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে গণধর্ষণের ১০ দিন পর এই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা নিয়ে নানান রহস্য ও ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ফকিরা বাজারস্থ ভিলেজার পাড়া এলাকার মো. আব্বাসের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২০ সেপ্টেম্বর সোহেল কৌশলে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে শাবনুরকে কক্সবাজার কলাতলী ক্লাসিক রিসোর্ট নামের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরো ৫ জনের নামের সদর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন শাবনুরের বাবা। পরদিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এসআই শামীম আল মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শাবনুর আক্তারের মা জানান, তার মেয়ে ১০ দিন আগে চিহ্নিত বখাটে ছেলেদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়। গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৬ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ৪ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। সেই থেকে এলাকার লোকজন ও প্রতিবেশিরা ঘৃণার চোখে দেখে আসছিল। লোকলজ্জার ভয়ে সে বাড়ির সবার অগোচরে টিনের ঘরের বীমের সাথে ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত কিশোরীর মা এটিকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও স্থানীয়দের ধারণা, হত্যা করা হয়েছে। তবে ঘটনার পরপরই পিতা আমির হোছেন আত্মগোপনে থাকায় ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পরিবারের অন্য সদস্যরা এ ঘটনার বিবরণে জানান, প্রতিদিনের মতো বাবা আমির হোসেন দিনমজুরি কাজ করতে বের হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়েও চলছে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে ঘটনার রহস্য। গণধর্ষণের ঘটনার জড়িত পলাতক দুই আসামীর প্ররোচনায় আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু তা নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।