ডেস্ক রিপোর্ট :
পরিবারের সদস্যদের অপহরণ, খুন ও গুম করার হুমকি অভিযোগ করে সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মঈনুদ্দিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করছেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজন করা হয় উক্ত সংবাদ সম্মেলন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আর রুহুল্লা চৌধুরী রাজাকারের সন্তান। রাজাকার মুমিনুল হক চৌধুরীর ছেলে রুহুল্লা চৌধুরীকে সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখজনক। তাই বিষয়টি মানতে না পেরে আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য রীতিমতো হুমকির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, রুহুল্লা চৌধুরী সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর আপন শ্যালক। তাই তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় ২১ জানুয়ারি রাত ১২টায় অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী আমার দক্ষিণ চরতী এলাকার গ্রামের বাড়িতে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দিয়ে আসে। পাশাপাশি ঘরের দেয়ালে আঘাত করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
এর পরদিন ২২ জানুয়ারি শতাধিক মুখোশধারী সন্ত্রাসী নগরের ওমর আলী মাতব্বর রোডস্থ আমার বাসায় গিয়ে শাসাতে থাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ, খুন ও গুম করার হুমকি দেয়। এমনকি সন্ত্রাসীরা আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতেও হুমকি দিয়ে আসে। তাই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি চরতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি লড়াই করতে চাই। আগামীকাল থেকে প্রচারণায় নামার চিন্তা-ভাবনা আমার আছে। মৌলিক অধিকার নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।