

বান্দরবান প্রতিনিধি:
কুমিল্লা পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বান্দরবানের লামায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে লামা থানার ওসি সহ অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে লামা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক অর্ধশত ফাঁকা গুলি (টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট) নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
লামা থানার ওসিকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, অনেক গুরুতর আঘাত লেগেছে তার এমনটাই জানা গেছে। অন্যান্য আহতদের লামা সরকারি হাসপাতালে এবং স্থানীয় আলিঙ্গন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে, কুমিল্লা পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে লামায় প্রতিবাদ সভা করে উপজেলার সর্বস্তরের স্হানীয় মানুষরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় লামা বাজারের উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লামা কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, লামা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম সহ প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভার পরপরই উপস্থিত জনতাকে চলে যেতে বলা হলেও তারা কারো কথা না শুনে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে লামা বাজার প্রদক্ষিণ করে। পরিশেষে মাছ বাজারের মোড়ে গিয়ে ভাংচুর শুরু করে তারা। কয়েক শত মানুষ প্রায় ৩/৪ ঘন্টা ব্যাপী লামা বাজার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, তার আশপাশে ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লামা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত সবাইকে বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। সংঘর্ষে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সহ ২০ এর অধিক আহত হয়।
















