বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র’র প্রয়ানে সর্বস্তরের শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্রের ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এবং সর্বোপরি চট্টগ্রামের সর্বোস্তরের মানুষের মাঝে গভীর শোক বিরাজ করছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের দুর্ধর্ষ গেরিলা অভিযান পরিচালনাকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে চসিক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম নগরীর আইচ ফ‍্যাক্টরী রোড় সহ বেশ কয়েকটি সফল আপারেশনের মাধ্যমে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র।

সাবেক মেয়র চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন’র শোক জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, অমল মিএদের মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তা আজ ইতিহাসের অংশ, আজ আমরা লাল সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি তার অবদানের কথা জাতি আজীবন স্বরণ রাখবে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামীলীগ কর্মীর মৃত্যু এক অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে, তা পুসিয়ে নেয়ার মতো নয়। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা কামনা করছি।

এদিকে, তাঁর মৃত্যুতে চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি অমল মিত্রের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শোক বার্তায় মেয়র বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মৃত্যুর পরোয়া না করে অমল মিত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন। প্রশিক্ষিত হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে লড়তে তখন আমরা গেরিলা হামলার কৌশল প্রয়োগ করে চট্টগ্রামকে শত্রুমুক্ত করতে একত্রে কাজ করি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট পরবর্তী কঠিন সময়ে তিনি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে সুসংগঠিত করেন। চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখে তিনি সবসময় পাশে ছিলেন। দলের চরম দুর্দিনে কর্মীদের তিনি আগলে রেখেছিলেন পরম মমতায়। তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গণে যে শুন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পুরণ হবার নয়। এ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তবে প্রজন্ম থেকে থেকে প্রজন্মে একজন আদর্শিক নেতা হিসেবে কর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন। তার কর্ম এবং সাংগঠনিক কৌশল আমাদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।