নিজস্ব প্রতিবেদক:
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার কমিয়েছে এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। মেয়র বিনামূল্যে পাঠ্যপুষÍক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হিসাবে বর্ণনা করেন। কারণ এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।
তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষায় ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে স্বনির্ভর করা। মেয়র বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফল করা এবং প্রতিভা বিকাশে স্কুলের শিক্ষকদের একা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, অভিভাবক মহলেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শিক্ষা ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার।
আরো বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস ছালাম মাসুম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, প্রধান শিক্ষক চম্পা মজুমদার।মেয়র আরো বলেন, আমাদের সময় শিক্ষার্থীরা পুরোনো বই পড়ে লেখা পড়া করেছে আর তোমরা বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়েছ।
এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই দুর্লভ ও কঠিন কাজ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কারণে এ ধরনের একটি দূরুহ কাজ সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সরকার জনগণের অর্থ সাশ্রয়ে জন্য অনেকদিন থেকে কঠোরতা আরোপ করলেও শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বই ছাপানো ক্ষেত্রে আপোষ করেননি। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা সময় থেকে আমার ঘরে আমার স্কুল অর্থাৎ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, কাজেই ঘরে বসে পড়াশুনায় কেউ যাতে লেখা পড়ায় ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।