নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মরহুম এ কে ফজলুল হক চেয়ারম্যানকে সঙ্গে পরিচয়-সখ্যতা। আওয়ামী রাজনীতিতে তৃণমূল থেকে উঠে আসা নির্ভিক এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য এমন মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। তিনি যেমন সততায় তাঁর জীবনকে ভাস্বর করেছেন, তেমনি আমৃত্যু আওয়ামী রাজনীতিতে নিবেদিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ইতিহাস অপ্রতিরোধ্য। শত বছর পরে হলেও ইতিহাসের সত্য উদ্ভাসিত হবে।ইতিহাসবিদরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ইতিহাস রচনা করবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক চেয়ারম্যানকে আজকের অনেকেই চেনেন না বা জানেন না। অথচ এই মহান মানুষটি শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে বিকশিত করার জন্য তাঁর যে ত্যাগ-শ্রম এবং সাধনা তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক বিশেষ সম্মাননা’ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, ৫০ বছরের সফল প্রতিষ্ঠান সন্ধানী, নিজের বেতনের টাকায় গরীবের মাঝে ওষুধ সামগ্রী বিতরণকারী সরকারি চাকুরিজীবী মোহাম্মদ নেছার, সেবা ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা মানবিক পুলিশ শওকত হোসাইন, করোনাকালীন ও সর্বশেষ বিএম ডিপোতে অগ্নিকান্ড হতাহতদের সহায়তায় এগিয়ে আসা গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ এবং করোনাকালীন সময়ে সম্মুখসারির সংগঠন আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
আবৃত্তিশিল্পী ও সাংবাদিক সাবের শাহ্’র সঞ্চালনায় ও মাস্কস ম্যানেজমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ, মো. সাজ্জাদ উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম হিরো, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল মনসুর, উড ইঞ্জিনিয়ার শওকত জামান, তরুণ সমাজসেবী মো. শওকত হাসান, উন্নয়নকর্মী শওকত হাফেজ সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইসমাইল খান।