চট্টগ্রামে ও কক্সবাজারে প্র:মন্ত্রীর জনসভা সফলতায় চট্ট: বিভা: যুবলীগের প্রস্তুতি সভা

রাজনৈতিক ডেস্ক:

আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এবং ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবলীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সাড়ে ১২টায় নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

সভার সভাপতি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ‘বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নাই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তার গুণধর পুত্র তারেকের। দক্ষতা নাই বলে আজ তারা এ দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, হয়তো তাদের বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু কোনো বিদেশি প্রভুদের নির্দেশনায় বা হস্তক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিবর্তন হবে না।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসতে হলে প্রথমে তাদের দেশের মানুষের কাছে মাফ চাইতে হবে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে বোমাবাজি করে দেশ চালোনো যায় না। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতারা তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য হাসিল করতে দিবে না। তাই আমি আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা রাজপথে থাকবেন। আপনাদের সাথে নিয়েই এই সন্ত্রাসীদের আমরা শায়েস্তা করবো।’

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলার যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আগামী ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে মহা জনসমুদ্রে পরিণত করে সফল করার জন্য দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় সভায়।

এছাড়াও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে। আমি শুধু একটা কথাই বলবো জোশে হুঁশ হারায়েন না। বেহুঁশ হইয়েন না। রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দেখছেন না ওর হুঁশ ফিরে আসার পর তো পা জড়ায় ধরছে সকলের। আর আপনাদের হুঁশ ফিরে আসলে হয়তো ওর মতো পা জড়ায় ধরতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামে আগমন জনসমুদ্র হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘৪ তারিখ আমাদের জনসভা হবে। আমাদের নেত্রী আসবেন। ওই দিনটি হবে চট্টগ্রামবাসীর আনন্দের দিন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম শহরের রাস্তায় রাস্তায় বর্ণিল সাজে সেজেছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন আসবেন সেদিন চট্টগ্রামে জনসমুদ্র হবে।’

মির্জা ফখরুল মিথ্যচার করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল চমৎকারভাবে যেভাবে মিথ্যাকে বর্ণনা করেন তাতে তার জুড়ি মেলা ভার। বিএনপির সেই আগের কথার জোর কিন্তু নেই। এখন সুরটা কিছু নরম হয়ে গেছে। মিউ মিউ শব্দ এসেছে এখন তাদের। এর একটাই কারণ আওয়ামী যুবলীগের সেই ১১ তারিখের জনসভা।

যুবলীগের এক সমাবেশ দেখে বিএনপির অনেকের হুঁশ ফিরে আসছে। তবে বিএনপির মিথ্যা বলার জুড়ি নাই। মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিএনপি।’

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলার যুবলীগেরন প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

এসময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল, মীর মোহাম্মদ মহি উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই, আদিত্য নন্দী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটসহ আরও অনেকে।

আগামী ৪ ডিস্বের নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা অনুষ্ঠিত হবে ।