নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা পলোগাউন্ড মাঠে নয় বিস্তীর্ণ চট্টগ্রাম জুড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটে মানুষের সরব উপস্থিতি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের মানুষ ঐতিহাসিক সমাবেশ উপহার দেবে ।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে নগরের জামালখানে চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভা সফল করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই সব কথা বলেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
হুইপ বলেন, পলোগ্রাউন্ডের বিএনপির যে সমাবেশ হয়েছে তার সাথে আমাদের সমাবেশের সম্পর্ক নাই। কোন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ করতে চাইলে তিন চার মাস আগের থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। তাদের সমাবেশে দলীয় মহাসচিব উপস্থিত থাকলেও আমাদের সমাবেশ দলীয় প্রধান উপস্থিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, এটা বিভাগীয় সমাবেশ নয় চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সমাবেশ। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৪ তারিখের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
হুইপ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারি সুবিধা নিয়ে সমাবেশ করে না। সরকারি সুবিধা সমাবেশে জনাসমাগমে বাধা সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে সমাবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে ঢুকতে হয় ,তাই প্রবীণ ব্যক্তিরা সমাবেশ যোগ দিতে পারে না।
হুইপ স্বপন বলেন, বিএনপির সমাবেশের জন্য মহামাঠ সোহরাওয়াদী উদ্যান তৈরি করে রেখেছি। এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমাবেশ করতে পারবে ,তারা শক্তিমাত্রাও প্রকাশ করতে পারবে।
নগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বলেন, পলোগাউন্ড মাঠের চতুর্দিকে তিন চার কিলোমিটার লোকে লোকারণ হয়ে যাবে। বক্তব্য শুনতে মানুষের সুবিধার জন্য যতটুকু পর্যন্ত সম্ভব মাইক লাগানো হবে। নগরীতে চার- পাঁচটা ডিসপ্লে বসানোর কাজ খুব শীঘ্র সম্পন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দরা।