প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর যুবলীগের ওয়েবসাইট উম্মোচন প্রধানমন্ত্রীর হাতে

রাজনৈতিক ডেস্ক:

প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে যুবলীগের ওয়েবসাইট ও অ্যাপস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকেলে সোয়া ৩টার দিকে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সমাবেশের সঞ্চালক যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী প্রধানমন্ত্রীকে ওয়েবসাইট উদ্বোধনে সহযোগিতার জন্য ডেকে নেন যুবলীগের তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে।

তখন প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সাথে যুক্ত রয়েছে। গ্রাম থেকে বসে পৃথিবীর যে কোন স্থানে যোগাযোগ করতো পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে। আজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান এর নেতৃত্বে যুবলীগের অনিক, এলিট এবং সৈকত যুবলীগকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছে। আমি এ উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।’

এদিকে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের আয়োজন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল-স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছিল উদ্যানের চারপাশ।

মহাসমাবেশ যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশে আছেন যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। ছবি : ফোকাস বাংলা।অ্যাপস ও ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও মোবাইল এ্যাপস সংগঠনের সারাদেশের কর্মকাণ্ড, সংগঠনের জনশক্তি, তৃনমুলের সাথে কেন্দ্রের যোগাযোগ, কর্মীদের ডাকা সংরক্ষণ করা হবে।

এছাড়া কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এর ভিডিও অডিও বার্তা, নোটিশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এবং সারাদেশের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আপলোড করতে পারবে। সারাদেশের নিবন্ধিত সদস্যদের ডাটা থাকবে। যে কোন কর্মী উপজেলা, জেলা শাখার অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বা গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে পারবেন। শুধুমাত্র অভিযোগ বক্স সভাপতি নিজে তদারকি করবেন।’

এর আগে, জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরুর পর প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তারপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা। এরপরই সুবর্ণ জয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।