রাজনীতি ডেস্ক:
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগকে আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে সংগঠিত সংগঠন বলে উল্লেখ করে কোনভাবেই বিভেদ মতভিন্নতা যাতে মাথাচাড়া না দেয়; সেদিকেও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বকে সর্তক থাকতে হবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
রবিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রামে সবচেয়ে একটি সংগঠিত সংগঠন। এই সংগঠনের পূর্বসূরী এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ হান্নান, এম.এ মান্নান, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইনামুল হক দানু; এদের পরম্পরায় এখন যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা আছে। তবে কোনভাবেই বিভেদ মতভিন্নতা যাতে মাথাচাড়া না দেয়; সেদিকেও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্বকে সর্তক থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি। এই সময়টা অতিক্রম করতে হলে আমাদেরকে সত্য সুন্দর ও পবিত্র হতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমাদের কর্মকে বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গায় আনতে হবে। স্বাধীনতার মাসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ যে দিবসটি উদযাপন করেছে; এতে মাটি ও মানুষের সুবাস পেলাম।’
হুইপ স্বপন বলেন, ‘এই চট্টগ্রামকে বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই স্বাধীনতার বার্তাটি চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিলেন। এই পবিত্র মাটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল্যায়ন করেন এবং চট্টগ্রাম থেকেই ত্যাগী ও পরীক্ষিত তৃণমূল নেতাকর্মীরা সামনে এগিয়ে আসবেন। এই বিশ্বাসবোধ থেকে তৃণমূল স্তরের কর্মী নোমান আল মাহমুদকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।
আমি আশা করবো, সমস্ত বিভেদ-বিভ্রান্তি বা ভিন্নতা ভুলে নোমান আল মাহমুদকে বিজয়ী করার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সংকট কাটিয়ে উঠাই আওয়ামী লীগের শক্তি। এই শক্তিতে আওয়ামী লীগ বার বার বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনো পরাজয় মানেনি। পবিত্র রমজানুল মোবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী দলীয়ভাবে সাংগঠনিক স্তরে ইফতার মাহফিল বাতিল করে এই ইফতার আয়োজনের সমস্ত বাজেট যাতে গরীব রোজাদার মানুষদের মাঝে বন্টন করা হয় সেই নির্দেশনা দেন তিনি।তিনি আরও বলেন, সেবাই ধর্ম। এই সেবাব্রত পালনে আমাদেরকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।
আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় যে অর্জনগুলো জাতিকে উপহার দিয়েছেন তা যেন আমরা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। আজকে বাংলাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনরা জমি ও বাসস্থান পাচ্ছে। এইরকম অর্জন পৃথিবীতে কোথাও নেই। এটাই হচ্ছে স্বাধীনতার মহান প্রাপ্তি।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, পবিত্র রমজানুল মোবারকের মধ্যেই আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করছি। যা আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, ক্ষমতায় ছিলাম, আছি ও থাকবো। তবে আমাদেরকে পরিচ্ছন্ন হতে হবে। নেতৃত্বের আসনে ত্যাগী ও পরীক্ষিতরা আসতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, উপদেষ্টা শেখ মো. ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দীন আহমেদ, এ এসএম ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সামশুল আলম, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, দিলদার খান দিলু, দিদারুল আলম মাসুম, ইউনিট আওয়ামী লীগের এস.এম মুরাদ, মো. শাহজাহান, বাবুল দেব রায়, মুজিব ইমরান বিপ্লব, মামুনুর রশিদ মামুন। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের, মো. হোসেন, জহুর আহমদ, জালাল উদ্দীন ইকবাল, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবাইরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দীন খান, পেয়ার মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী, এড. মো. কামাল উদ্দীন আহমেদ, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, আব্দুল লতিফ টিপু, মহব্বত আলী খান, বেলাল আহমদ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।