চট্টলা ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির ৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার ( ৬ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যার পর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল। এমন খবর পেয়েই গোপনে সন্ধ্যায় সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখান থেকেই আটক হয় দুই সহকারি সেক্রেটারিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
রাত পৌনে আটটার দিকেও সেখানে অভিযান চলছিলো বলে জানায় ভাটারা থানা পুলিশ।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহের ষড়যন্ত্র এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে তাঁরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে অভিযান চালাই।’
জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হক জানিয়েছেন।এদিকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনের একটি বৈঠকে অংশ নিতে বিকেলে তাঁরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনহীন জামায়াতে ২০২০ সালে সেক্রেটারি জেনারেলের পদে আসেন সাবেক সংসদ সদস্য পরওয়ার। তথন আমির পদে আসেন শফিকুর রহমান।
এদিকে জামায়াত আমির শফিকুর এক বিবৃতিতে বলেছেন, পরওয়ার, রফিকুল ও আযাদসহ ৭ নেতা এবং তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ ও মোবারক হোসাইন এবং ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত।
শফিউর অবিলম্বে আটক নেতাদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।