চট্টগ্রামে শিল্প-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান

নগর প্রতিবেদক :

শিল্প- সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১০ জন গুণীজনদের জেলা শিল্পকলা একাডেমী সম্মাননা ২০১৯ ও ২০২০ প্রধান করা হয়েছে।


সোমবার ৪ অক্টোবর বিকেলে জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্মাননা অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ মমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসান।


বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত কবি ও সাহিত্যিক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিতে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তাদের ১০ জনকেই মূল্যায়ন করা হয়েছে, দেখে অনেক আনন্দিত হলাম। এ সম্মাননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা ভাবনার ফসল বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের আলোচনা করেন।১৯৭৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সংস্কৃতি অবরূদ্ধ ছিল উল্লেখ করেন।


সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ মমিনুর রহমান বলেন, শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান করা মানেই শিল্পীদের মূল্যায়ন করা। আর তাতে শিল্পী সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায় শিল্পীদের মধ্যে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন. শিল্পের ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখার জন্য গুণীজনদের ২০১৩ সাল থেকে সম্মাননা প্রদান করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি তার উল্লেখযোগ্য উদ্দ্যেগ এবং এরই ধারাবাহিকতায় তা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ সেক্টর ছিল কিন্তু শিল্পীদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রচার প্রচারণাও একটা সেক্টর ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।


যে ১০ গুণীজনরা সম্মাননা পেয়েছেন তাঁরা হলেন, ২০১৯ সালে নাট্যকলায় মু. সাইফুল আলম চৌধুরী, কন্ঠসংগীতে আব্দুর রহিম, যন্ত্রসংগীতে জেকব খায়েস, চলচ্চিত্রে আনোয়ার হোসেন পিন্টু এবং চারুকলায় কেএমএ কাইয়ুম। ২০২০ সালে নাট্যকলায় মুনির হেলাল, কন্ঠসংগীতে সুজিত রায়, নৃত্যকলায় শৈবাল সেন, ফোটোগ্রাফিতে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু এবং আবৃত্তিতে অঞ্চল চৌধুরী এ সম্মাননা অর্জন করেছেন।


এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মুসলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু সহ অন্যান্যরা। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় উপস্থিত সকলের জন্য।