থিয়েটারে হয়ে গেল দু’দিন ব্যাপী তীর্যক নাট্যদলের রবীন্দ্রনাথের নাটক ‘রাজা’

নগর প্রতিবেদক :

অন্ধকার কাটিয়ে আলো জ্বলেছে চট্টগ্রামের নাট্যমঞ্চে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক ‘রাজা’ মঞ্চে নতুন ভাবে এনেছে চট্টগ্রামের নাট্যদল তির্যক।

১লা ও ২রা অক্টোবর শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ব্যপী সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে নবরূপে নাটকটির উদ্বোধনী হিসেবে মঞ্চায়ন হয়।

নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার।

নাট্যনির্দেশক আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১১ সালের ১৫ জুন নাটকটি মঞ্চে আনে তির্যক। তখন পাঁচটি প্রদর্শনী হয়। দীর্ঘ বিরতির পর এবার নবরূপে নাটকটি আবারো মঞ্চায়ন শুরু হলো। এখন থেকে নিয়মিত মঞ্চায়ন হবে নাটকটি। করোনা মহামারীতে বিশ্ব বিপর্যস্ত। স্বাভাবিক জনজীবন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সবই প্রায় স্থবির হয়ে গেছে। তবুও এ সময়ে সর্বাত্মকভাবে সচেতন থেকে এবং সব নির্দেশনা মেনে দীর্ঘ ১৮ মাস পর নাট্যমঞ্চে আলো জ্বেলে ফিরেছে তির্যক।’

দীর্ঘ বিরতির পর তির্যক নাট্যদল নাট্যমঞ্চে আলো জ্বেলে ফিরতে পেরে অনেক আনন্দিত দলের শিল্পীরা। এ সময় তীর্যকের নাট্য শিল্পরা মঞ্চ নাটকের প্রাণের জায়গা থিয়েটার ইনস্টিটিউটে রাজা নাটকের মধ্যে দিয়ে সহপাঠীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে দাবি করেন।

নাটক প্রসঙ্গে তির্যকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রাজা নাটকের গল্প মূলত রূপের সাধনা ও অরূপের আরাধনা নিয়ে গড়ে উঠেছে। রবীন্দ্র ভাবাদর্শের রূপ-অরূপ, সীমা-অসীম তত্ত্বও এখানে আভাসিত। অন্ধকার ঘরের অদৃশ্য রাজা অসীম অনন্তের প্রতীক। তাকে ঘিরেই প্রধান চরিত্র তিনটির আবর্তন। সুদর্শনা, সুরঙ্গমা, ঠাকুরদা এমনকি কাঞ্চিরাজও রাজার বৃত্তেই ঘুরে চলেছে। এরা যেন বৈষ্ণব পদাবলির সেই ভক্তস্বরূপ। এ এক বসন্তবিহীন কাল। বসন্তের আজ তাই নতুন উপলব্ধি চাই। আজ রাজাতে বসন্ত কেবল তো পটভূমি নয়, এক হিসেবে বসন্ত আবার পুরোভূমি।’

রাজা নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজিত চক্রবর্ত্তী, শায়লা শারমিন স্বাতী, লাকী মল্লিক, মাহবুবুল ইসলাম রাজিব, রিপন বড়ুয়া, অমিত চক্রবর্ত্তী, রোজিনা আকতার নিঝুম, ফারজানা ইসলাম টিনা, অপূর্ব, মিখাইল মোহাম্মদ রফিক, সালমা চৌধুরী, সাইদুর রহমান চৌধুরী, আবির কিশোর, অজয় ত্রিপুরা, সানজিদা আক্তার রূপা ও জুয়েল চাকমা।