আজ, বৃহস্পতিবার | ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ । ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬
চট্টগ্রামের ৪৯ জন সাংবাদিকের স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে
প্রকাশ : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ৩:৪২ : অপরাহ্ণ |
বিভাগ : জাতীয়
নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চট্টগ্রামের ৪৯ জন সাংবাদিক নানামুখী আবাসন সমস্যা সম্পর্কে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে ৬৭ জন সাংবাদিকের টাকা দিয়ে কল্পলোক আবাসিক এলাকায় সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির নামে সিডিএ থেকে একটি প্লট কেনা হয় ফ্ল্যাটব্লক নির্মাণের জন্য।
সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির তৎসময়ের কমিটি জেনেসিস নামের একটি অখ্যাত বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্ল্যাট ব্লক নির্মাণের জন্য চুক্তি করে। চুক্তি অনুসারে সর্বোচ্চ সময় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার শর্ত থাকলেও বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিস এখনো পর্যন্ত ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়নি।
২০১৬ সালে সম্পাদিত সম্পূরক চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৬৭ জন সাংবাদিককে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে না পারলে সময়োপযোগী ফ্ল্যাট ভাড়া প্রদানের শর্ত সন্নিবেশ হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার সময় শেষ হয়েছে। এখন সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিকদের চার বছরের ফ্ল্যাট ভাড়া বাকি রয়েছে। অবিলম্বে বকেয়া ফ্ল্যাট ভাড়া ৬৭ জন ফ্ল্যাট মালিক ও মৃত ফ্ল্যাট মালিকদের পরিবারকে পরিশোধ করে ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ তরান্বিত ও সম্পন্ন করা এবং প্রকৃত মালিক, স্থলাভিষিক্ত ও নমিনিদের বুঝিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের আবাসন সংকট নিরসনে বিগত শতাব্দীর আশির দশকে তৎকালীন সরকার চট্টগ্রাম শহরের শেরশাহ এলাকায় ১৬ একর ভূমি বরাদ্দ দেয় চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিকে। এই সোসাইটির মাধ্যমে সে সময়ে ১০৯ জন সাংবাদিককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই সোসাইটি কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ব্লক নির্মাণের জমি ক্রয় করে, এই সোসাইটি ২০০৭ সালে সিডিএ থেকে অনুমতি নিয়ে শেরশাহ এলাকায় আবাসন সুবিধা বঞ্চিত সাংবাদিকদের জন্য ফ্ল্যাট ব্লক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
দুরাচারী, শয়তানদের কারণে এই উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়। চিহ্নিত এই দুরাচারী, শয়তানচক্র এখন সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিকে অবসায়নের ষড়যন্ত্র করছে কতিপয় দুর্নীতিবাজ, নীতিজ্ঞান শূন্য আমলাকে নিয়ে।অতীতে যে সাংবাদিকরা যা অর্জন করেছিলেন তা সব তাদের নয়- এখন যারা সাংবাদিকতায় আছেন এতে তাদেরও অংশ রয়েছে।
এটা যারা বিশ্বাস করে না, বুঝতে হবে তারা কঠিন গোঁড়ামি ও ভ্রান্তিতে ডুবে আছেন। সরকার সাংবাদিকদের জায়গা দিয়েছিল, নিজেদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্য, গৃহনির্মাণ করে থাকার জন্য, ব্যবসা করার জন্য নয়। তিনটি মৌলিক বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজের আজকের এই আবেদন।
আবেদন তিনটি হলো-
১. কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ারের সাংবাদিক ফ্ল্যাট ব্লক নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে প্রকৃত মালিকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া ও বকেয়া প্রাপ্য ফ্ল্যাট ভাড়া পরিশোধে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠান জেনেসিসকে বাধ্য করা।
২. চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি অবসায়নের অপচেষ্টার চক্রান্তকারীদের কঠোর হস্তে দমন করার পদক্ষেপ গ্রহণ এবং
অনুগ্রহপূর্বক দুরাচারী বিল্ডার্স জেনেসিসের সব কর্মকর্তা এবং এই প্রতিষ্ঠানের দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত মাফিয়া সাংবাদিক নেতা মুখোশধারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করে চট্টগ্রামের আবাসন বঞ্চিত সাংবাদিকদের নির্যাতন ও জুলুম থেকে রক্ষা করুন।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক নেতা, চট্টগ্রাম কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ার সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিক স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, সম্পাদক আবিদ হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য প্রণব বড়ুয়া অর্ণব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সাবেক চেয়ারম্যানদ্বয় হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বপন কুমার মল্লিক, সাবেক সম্পাদকদ্বয় নওশের আলী খান ও মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, মুক্তিযোদ্ধা দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন খোকন, রোকসারুল ইসলাম, কাজী আবুল মনসুর, পংকজ কুমার দস্তিদার, সুভাষ কারক, আলমগীর সবুর, মো. আইয়ুব আলী, মুহাম্মদ শামসুল হক, বশির আহমদ, ই পারভেজ ফারুকী, শওকত ওসমান, রূপম চক্রবর্ত্তী, নিপুন কুমার দে, আসিফ সিরাজ, মিহরাজ রায়হান, রনজিত কুমার দে, প্রভাত বড়ুয়া, ড. সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ, প্রদীপ নন্দী, অমিত বড়ুয়া, মিন্টু চৌধুরী, যীশু রায় চৌধুরী, আবুল কালাম বেলাল, নিজাম হায়দার সিদ্দিকী, মোরশেদুল আলম তালুকদার, নাসির উদ্দিন হায়দার, মাহবুব-উর-রহমান, মাখন লাল সরকার, শেখর ত্রিপাঠী, স.ম. ইব্রাহীম, রাজেশ চক্রবর্ত্তী, নুর উদ্দিন আহমদ, মুজাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ, বিপুল বড়ুয়া প্রমুখ।