নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে মানুষের জান-মাল বাঁচাতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি একাধিক সংস্থা ।
শনিবার (১৩ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক মেয়রের নেতৃত্বে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এক যৌথসভায় বসেন।
সভায় মোখা মোকাবিলায় গৃহিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং করণীয় তুলে ধরেন তারা। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ ভবনের নীচ তলায় খোলা কন্ট্রোলরুম পরিদর্শন করেন। এরপর মেয়র পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আজমল আলী ঘাট, রাশমনি ঘাট সহ বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেন এবং বিকাল পাঁচটার মধ্যে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পর্যটকসহ সব মানুষকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।
মেয়র হালিশহর বেড়িবাঁধে খালের একটি কাটা অংশে জোয়ারের পানি জনবসতিতে ঢুকে পড়ার ঝুঁকি থাকায় সে অংশে স্কেভেটর দিয়ে ভরাট করে দেয়ার চলমান কাজ তদারকির পর লিংক রোডের পাশে স্লুইচগেট এলাকা পরিদর্শন করেন ।
সভায় মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারীর সাথে সাথেই আমরা সভা করে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছি। সকাল থেকে সার্বিক পরিদর্শনে মনে করি মোখা মোকাবিলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত।
মেয়র বলেন, “ভোর থেকে ৭ টি যানবাহনে করে ঝুকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরে যাওয়ার জন্য আমি নিজেও মাইকিং করেছি। প্রয়োজনে বিকাল পাঁচটার পর প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করে হলেও ঝুকিপূর্ণ জনগণকে সরিয়ে নিবে। কাউন্সিলরবৃন্দকে নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা স্ব-স্ব থানার সাথে যোগাযোগ করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণভাবে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। ”চসিকের প্রস্তুতি সম্পর্কে মেয়র জানান, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মানুষকে তথ্য সেবা দেয়ার পাশাপাশি ৯০ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫০ টি মেডিকেল টিম আর দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকেও প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।“জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট আর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা চট্টগ্রামবাসীকে এ দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে আমাকে দিন-রাত পরিশ্রম করে সাহায্য করছে। উনাদের অবদান চট্টগ্রামের মেয়র ও সন্তান হিসেবে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি।”
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব খালেদ মাহমুদসহ প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, চসিকের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা প্রধান এবং জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট আর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।