নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘স্মার্ট চট্টগ্রাম মহানগর’ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বলে উল্লেখ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
সোমবার (১৫মে) সিএমপি’র চট্টগ্রামের আয়োজনে দামপাড়া পুলিশ লাইন মাল্টিপারপাস শেড মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ কথা বলেন।
তিনি এ সময় ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বিনির্মানে সরকারি- বেসরকারি দপ্তর, জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে সিএমপি, চট্টগ্রাম কি ভূমিকা পালন করতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের তিনটি মূলনীতি-ক্যাসলেস, পেপারলেস, প্রেজেন্সলেস এবং চারটি পিলার- স্মার্ট সিটিজেন,স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকনমি বিষয়ে ২০৪ সালের ভিশন-২০৪১ অর্জনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, আইওটি, ক্লাউড কম্পিউটিং, ব্লক চেইন, ন্যানো প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করা যায় তার সংক্ষিপ্ত রুপরেখা প্রদান করেন। বিশেষ করে সাইবার সিকিউরিটি, ড্রোন এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স স্মার্ট পুলিশিং এ ব্যাপক সহায়তা প্রদান করবে মর্মে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
স্মার্ট সরকারি সেবা, স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্মার্ট বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা, স্মার্ট সামাজিক সুরক্ষা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট শিক্ষা ও পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে ধারনা প্রদান করেন।
চট্টগ্রামেই প্রথম স্মার্ট ভিলেজ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এ লক্ষ্যে রাউজান উপজেলায় পাইলটভিত্তিক একটি গ্রাম নির্বাচন করে সোলার প্যানেল স্থাপন, ট্যাপড ওয়াটার, পুকুর খনন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সবুজায়ন, বর্হ্য ব্যবস্থাপনা, শতভাগ স্যানিটেশন, আধুনিক খেলার মাঠ তৈরি করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া এওয়ার্ড’ প্রতিযোগিতার আয়োজন,সকল বিদ্যালয়ে রোবোটিক্স ক্লাব গঠন, স্মার্ট চট্টগ্রাম বেস্ট আইডিয়া এওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন, প্রাপ্ত আইডিয়া/প্রকল্পসমূহ নিয়ে স্মার্ট চট্টগ্রাম শোকেসিং ও উৎসব আয়োজন করা হবে।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইলকোর্টে পুলিশ বিভাগের সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য সিএমপি কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বাস্তবায়ন করতে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মূখ্য ভূমিকা পালন করার সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে স্মার্ট করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্মার্ট আইন-শৃঙ্খলা ও স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।
উপস্থাপনা শেষে তিনি সিএমপির কর্মকর্তাগণের বিভিন্ন প্রশ্নের তিনি জবাব দেন। সভার প্রধান অতিথি, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের আওতায় ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বিনির্মাণে জেলা প্রশাসনের এ মহতী উদ্যোগকে অভূতপূর্ব মর্মে উল্লেখ করেন।
তিনি এ উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসকের ভূয়সী প্রশংসা করে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট পুলিশিং, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
স্মার্ট উক্ত সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম’ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।