চট্টলা ডেস্ক : সম্মেলনের ১৫ মাসের মাথায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামকে সভাপতি ও আতাউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ অনুমোদন দেন। কমিটি গঠন নিয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ থাকলেও শেষ সালাম-আতাউরের পাঠানো কমিটিই কেন্দ্র থেকে অনুমোদন পেয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আমরা আগে যেভাবে কেন্দ্রে লিস্ট পাঠিয়েছিলাম সেভাবেই কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এতে কাউকেই বঞ্চিত করা হয়নি। সিনিয়র সহ সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক মাঈনুদ্দীনকে আর এক নম্বর সদস্য করা হয়েছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাউজানের এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে।’
পূর্নাঙ্গ কমিটিতে ১১ জন সহ-সভাপতি, ৩ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৩৫ জনকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। সদস্য করা হয়েছে তিন সাংসদকেও। তারা হলেন, রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা ও সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক মো. মাইনুদ্দিন হাসান, সহ সভাপতি পদে- অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, আবুল কালাম আজাদ, মো. রফিকুল ইসলাম, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতী, এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, স্বজন কুমার তালুকদার ও জসীম উদ্দিন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন হলেন, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, দেবাশীষ পালিত ও জসীম উদ্দিন শাহ।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন হলেন, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, মহিউদ্দিন বাবুল ও নজরুল ইসলাম তালুকদার।
কোষাধ্যক্ষ পদে আফতাব খান অমি। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রদীপ চক্রবর্তী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেবুন নেছা জেসি। দপ্তর সম্পাদক নুর খান, উপ দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ। আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলী শাহ। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার প্রিয়াংকা আহসান প্রিয়া। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাফর আহমদ। যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাজিমুদ্দিন তালুকদার। বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবু তালেব। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন। শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু। সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সাবেরী। শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন। স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সেলিম। শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মহসীন জাহাঙ্গীর। কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস আজগর। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান সিকদার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. মোস্তফা।
কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন, রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা ও সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মো. আবুল বশর, মো. গিয়াস উদ্দিন, ডা. শেখ শফিউল আজম, ইউনুচ গনি চৌধুরী, শওকত আলম, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রুহেল, কাজী মো. ইকবাল, মো. ইদ্রিস, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী বাবুল, দিদারুল আলম বাবুল, মো. আলী খসরু, আফতার হোসেন খান, ডা. নুরুদ্দিন জাহেদ, রুস্তম আলী, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সরওয়ার হাসান জামিল, মো. সেলিম উদ্দিন, শাহেদ সরওয়ার শামীম, ভূপেশ বড়ুয়া, সরওয়ার্দ্দী সিকদার, গোলাম রব্বানী, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, আবদুল হালিম, রাজিবুল হাসান সুমন, বখতিয়ার সাঈদ ইরান, হাসিবুল সোহাদ চৌধুরী শাকিব, আফতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ ও মনজুর মোরশেদ ফিরোজ।
২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর সম্মেলনে ৩৬৬ জন কাউন্সিলর প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমানকে বিজয়ী করেন। কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটাভুটিতে সভাপতি পদে বিজয়ী এমএ সালাম পেয়েছিলেন ২২৩ ভোট ও নিকটতম এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন ১২৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী শেখ আতাউর রহমান পেয়েছিলেন ১৯৬ ভোট এবং গিয়াস উদ্দিন পান ১৫৪ ভোট।