চট্রল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ৯০২ জনে।
এদিকে, একই সময়ে দেশে করোনায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪৪ জন। ফলে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ হাজার ৯৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ৭৪৪ জন শনাক্ত হন, যাতে শনাক্তের হার ২৭.১২ শতাংশ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ১৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫৪ জন। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬.৫৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ এবং ১২৪ জন নারী।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৪২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন ও শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৬ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।