স্পোর্টস ডেস্ক:
পুুঁজি মাত্র ১০৪ রানের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করার কথা ভাবাও তো কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই করলেন টাইগার বোলাররা। এমনকি একটা সময় জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন তারা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি।
১০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, এক ওভার বাকি থাকতে। এই জয়ের পর পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে সফরকারি দল।শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতায় খেলেছেন টাইগার বোলাররা। সেই চেষ্টায় প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। অসি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে ফেরান মাহেদি হাসান।কিন্তু উইকেটে এসেই ভয়ংকর চেহারায় হাজির হন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানকে রীতিমত লজ্জায় ডুবিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এক ওভারেই হাঁকিয়েছেন ৫ ছক্কা!
ওভারের প্রথম তিন বলে টানা তিন ছক্কা হাঁকান ক্রিশ্চিয়ান। পরের বলটি ছক্কা হাঁকানোর মতো জোরে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন অসি ব্যাটসম্যান। কিন্তু তার পরের দুই বলে আবারও টানা দুই ছক্কা হাঁকান তিনি।পরের ওভারেই ম্যাকডরমটকে (১২ বলে ৫) এলবিডব্লিউ করেন নাসুম আহমেদ। তার পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ভয়ংকর ড্যান ক্রিশ্চিয়ানকে (১৫ বলে ৩৯) ফেরান শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানিয়ে।
পঞ্চাশের আগেই (৪৯ রানে) ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।অষ্টম ওভারে ময়েচেস হেনড্রিকস রানআউটের কবলে পড়লে দুর্ভাগ্য শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। সাকিবের বলে সোজা শট খেলেছিলেন মিচেল মার্শ। ননস্ট্রাইকে এন্ডে বোলারের হাতে লেগে ভেঙে যায় স্ট্যাম্প। হেনড্রিকস (৪) ফেরেন দুর্ভাগ্যজনক আউটে।এরপর দ্রুতই অ্যালেক্স কারে আর মার্শকে আউট করে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা। দশম ওভারে কারেকে (১) এলবিডব্লিউ করেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারে মাহেদি দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মার্শকে (১১)। ৬৫ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা।এরপর ২৭ বলে ২৭ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসেন অ্যাশটন অ্যাগার।
১৮তম ওভারে এসে তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। শামীম পাটোয়ারী নেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ।তবে অস্ট্রেলিয়ার ওপর তো রানের চাপ ছিল না। ৯৯ রানে ৭ উইকেট হারালেও ১৫ বলে মাত্র ৬ রান দরকার পড়ে সফরকারিদের। দারুণ বোলিং করেও তাই আর জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
এই ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে ৯ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। সমান ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট মাহেদি হাসানের।এর আগে অসি বোলারদের তোপে সুবিধা করতে পারেননি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শেষদিকে মাহেদি হাসানের ১৫ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২৩ রানের ইনিংসে কোনোমতে একশ পেরোয় স্বাগতিকরা, ৯ উইকেটে তোলে ১০৪ রান।অথচ ধীরগতির পিচে এবারও লড়াকু সংগ্রহ পাওয়া যাবে, একটা সময় মনে হচ্ছিল তেমনটাই। দশম ওভার চলার সময় ১ উইকেটে ৪৮ রান ছিল বোর্ডে।কিন্তু পরের দশ ওভারে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১ উইকেটে ৪৮ থেকে ৭ উইকেটে ৮৩ রানে পরিণত হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ৩৫ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে লড়াকু স্কোর গড়ার স্বপ্নটা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।