নিজস্ব প্রতিবেদক :
কঠোর লকডাউন শিথিল করা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানাবে। ওনারা এটা নিয়ে আলোচনা করছে কীভাবে এটা করা যায়। আগে তো ভ্যাকসিনেশন তারা জোরদার করছে। যাতে ছাত্রদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়া যায়। তারপরে দেখা যাক। সেটা ওনারা আপনাদেরকে ব্রিফ করবে।
করোনা টিকা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী সেদিন বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। হেলথ মিনিস্ট্রি এ বিষয়ে আপনাদের ব্রিফ করবে। এটা আজকের মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি।’
বিধিনিষেধের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিনোদনকেন্দ্র এবং গ্যাদারিংয়ের পারমিশন দেয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
’অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে সাজেশন দেয়া হয়েছে অন্তত কিছুদিন আপনারা এটা করে দেন।
আমরা জেলা পর্যায়ে ডিসি, এসপি, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে আমরা নিজেরা ঠিক করে দেব যতগুলো বাস আছে তার অর্ধেক আজকে চলবে, পরেরদিন বাকি অর্ধেক চলবে।’বিজ্ঞাপনতিনি বলেন, ‘এটা মেইনলি আন্তঃজেলা বাসের জন্য। বাইরে থেকে কম সংখ্যক বাস যাতে আসে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রসাশক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শ্রমিক ইউনিয়নের মালিক-শ্রমিক যারা আছেন তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা একটা পদ্ধতি বের করবে। বেইজিংয়ে আমি দেখেছি এমন।
’অর্ধেক বাস চলার ফলে আরেও বেশি সমস্যা তৈরি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে বেশি গাড়ি ঢাকা বা চট্টগ্রামের দিকে না ঢোকে। এটা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিদ্ধান্ত নেবে।
সিটির ক্ষেত্রেও মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মালিক সমিতি সিদ্ধান্ত নেবে।
কোনোকিছু ভায়োলেশন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। সবকিছু আমরা লোকাল অ্যামিনিস্ট্রেশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।