নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়েছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগী জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে। দুই সপ্তাহের মধ্যে আবারও দেখা মিলল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগী। প্রথমজন ৬০ বছরের নারী হলেও এবার ৪০ বছর বয়সী পুরুষ, যার চোখে এ ছত্রাক বাসা বেঁধেছে।
জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট থেকে এ রোগী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী এ রোগী করোনার দুই ডোজ টিকাও দিয়েছেন এবং ছিলেন না করোনাও আক্রান্ত। তবে আগে থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাজমার জটিলতা ছিল রোগীর। মুখের এক পাশে দাঁতের ব্যথাজনিত জটিলতায় তাকে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ২৫ জুলাই চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মুখের একপাশ ফুলে যায় তার। এ অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ৬ আগস্ট জানা যায় রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুযত পাল জানিয়েছেন, চোখ ও দাঁতের ব্যাথা নিয়ে ভুগতে থাকা ওই ব্যক্তির ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণ ধরা পড়ে। পরে ৫ আগস্ট পরীক্ষার রিপোর্টে তা শনাক্ত হয়। তিনি ৬ আগস্ট থেকে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, ব্ল্যাকফাঙ্গাসের চিকিৎসা মূলত নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর। সেজন্য কিছু ওষুধ আছে, আবার তীব্রতা বেশি হলে ইনজেকশন প্রয়োগ হয়। এই চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় এবং রোগীর নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয় বলে এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ জয় জানিয়েছেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত প্রথম রোগীর আজ (সোমবার) সার্জারি করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাকেও সার্জারি করাতে হবে। তবে সেটি রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। এছাড়া এর আগে রোগীকে কিছু ইনজেকশন ও ওষুধ দেওয়া হবে।’