নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিএমপি থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের বদলির ধারাবাহিকতায় এবার নিজ এলাকা ছাড়তে হচ্ছে ইপিজেড থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া ও পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমামকে। এদের মধ্যে উৎপলের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও হাসানের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ায়।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত আইজিপি ড. মইনুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে এ বদলি করা হয়। আদেশ অনুযায়ী উৎপল বড়ুয়াকে ডিএমপিতে ও হাসান ইমামকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়।তাদের ২৭ আগস্টের মধ্যে সিএমপি না ছাড়লে পরের দিন থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
এরআগের দিন চট্টগ্রামের আলোচিত ওসি মোহাম্মদ মহসীনকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছিল। সম্প্রতি সিএমপি থেকে চাঁটগাইয়া অফিসারদের বদলি করা হচ্ছিল। এ নিয়ে এখানকার অফিসারদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়৷ যদিও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলেন নি।
এরআগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) থেকে চট্টগ্রামের বাসিন্দা ‘মুক্ত করার মিশনে’ ৮ আগস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশে হালিশহরের ওসি রফিকুল ইসলাম ও পতেঙ্গার ওসি জোবায়ের সৈয়দকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। গত ৭ আগস্টও চকবাজারের ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ও বাকলিয়ার ওসি রহুল আমীনকে চট্টগ্রাম ছাড়তে হয়। তারা দুজনই চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটির বাসিন্দা।
এর দুই দিন আগে সিএমপির বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত পরিদর্শক পদমর্যাদার ১০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়৷ এছাড়া মে মাসের শেষ দিকে অতিরিক্ত উপকমিশনার ও সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার ১১ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছিল। সম্প্রতি বদলি হওয়া এই ২৫ কর্মকর্তার সবার বাড়ি চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলায়।
তারা শুধুমাত্র বৃহত্তর চট্টগ্রামের বাসিন্দা বলেই এই বদলির শিকার হচ্ছেন৷ অথচ পুলিশি আইনে নিজ জেলা পুলিশে ছাড়া মেট্রো এলাকায় চাকরি করতে কোন বাধা নেই৷ কিন্তু সিএমপি থেকে গণহারে বদলি করা হচ্ছে চট্টগ্রামের বাসিন্দা কর্মকর্তাদের৷ এ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে৷ শুধু কর্মকর্তাদের বদলি নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিএমপির ৩৬ জন পুলিশ কনস্টেবলকে একযোগে বদলি করে আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়নে (এপিবিএন) পাঠানো হয়, যাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়।