নিজস্ব প্রতিনিধি :
আমরা ক’জন মুজিব সেনা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংগঠনের আয়োজিত ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল খান।
উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা স্তম্ভ। ৭ ই মার্চের ভাষণ শুরু এবং শেষ টা ছিল সাইন্স এর মত। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ যদি এখনকার নতুন প্রজন্ম না ফলো করতে না পারে তাহলে আমরা ক’জন মুজিব সেনা কখনোই সফল হবে না।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান চৌধুরী এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের জাতীয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাইদ আহমেদ বাবু।
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কাজে লাগিয়ে আজকের নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে। এসময় তিনি আমরা ক’জন মুজিব সেনা নেতৃবৃন্দসহ সকল সদস্যদের বলেন, আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এখন শত্রু ঢুকে গেছে, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ৫ বোতাম আর ৬ বোতামের মুজিব কোট পড়লে শুধু মুজিবের আদর্শ হয়না, মুজিবের আদর্শ হতে হলে কর্নেল জামিল এর মত হতে হবে যিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৫ আগস্ট জীবন দিয়েছিলেন।
প্রধান বক্তা সংগঠনের জাতীয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাইদ আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন বন্ধুর ভাষণ স্টিকার পোস্টার কিছু লাগাতে পারতাম না তখন সবকিছু নিষিদ্ধ ছিল। মেলাতে স্টল নিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ চালিয়েছিলাম। এতে আমাকে সভাপতি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ কিন্তু ঘন্টা খানিক ঘুরিয়ে আমাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল আমাকে ডেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করতে বলেছিলেন কিন্তু আমি বলেছিলাম এটা আমরা কখনোই পারবোনা এবং আমার প্রশ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কি অবৈধ? তখন প্রিন্সিপাল স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অবৈধ নয় কিন্তু এটা চালালে আমার চাকরি থাকবে না। তারপর তিনি আমাকে ছোট করে বাজাতে অনুরোধ করেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে তৎকালীন জিয়াউর রহমানের শাসক দল কত ছাত্র নেতা কে কলেজ থেকে নিয়ে গিয়ে গুম করে ফেলেছিল তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাদের শুধু একটাই দোষ তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ছিল। সুতরাং মুজিবসেনা হতে হলে ওইসব ছাত্রনেতাদের জীবনী উপলব্ধি করতে হবে তবেই মুজিবসেনা পরিষদের সার্থকতা হবে।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জাতীয় পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু তোহা, সহ-সভাপতি এম জসিম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল বড়ুয়া জাতীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য নাজমুল হুদা শিপন প্রমুখ I