অর্থনীতি ডেস্ক:
দেশে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি মূল্য সমন্বয় করে বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূল্য মূসকসহ ৯৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩ টাকা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সর্বোচ্চ এ মূল্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল এই সংস্থা। তারপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
কিন্তু উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম আগের ৫৯১ টাকাই থাকছে। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা। আগে এটি ছিল ৪৮ টাকা ৭১ পয়সা।
সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, ‘বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশেও দাম বাড়ছে। আমদানিমূল্য কমলে দেশেও কমবে। শুনানির বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে কমিশনের আইনজীবীদের কাছ থেকে আইনগত মতামত নেওয়া হয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্ত আজকালের মধ্যে সবাইকে জানানো হবে।
‘জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত।
এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।
গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজিরি দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে গণশুনানির ঘোষণা দেয় বিইআরসি।
এর বিরুদ্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানি স্থগিত করে দেন উচ্চ আদালত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান। শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বিইআরসির সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।