চট্টলা ডেস্ক :
রোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের আনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পদক্ষেপে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬০ ডোজ টিকা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় চার কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজ বা তার বেশি টিকা পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্ম থেকে আগামী
অক্টোবর মাস থেকে প্রতিমাসে দুই কোটি হিসেবে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৬ কোটি টিকা পাওয়া যাবে।সরকারের টিকা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমান্বয়ে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণের ব্যবস্থা নেওয়া; ১২ বছর ও এর বেশি বয়সী সব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা; মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবন্ধীদের সুবর্ণকার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা; অগ্রাধিকারভিত্তিকে শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ এখনো চলমান রয়েছে। আশা করি সবার সহযোগিতায় চলমান এই বৈশ্বিক মহামারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এজন্য টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।