বিনোদন ডেস্ক :
গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজিরা দিতে যান চিত্রনায়িকা পরীমণি। এসময় তার ডান হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে নতুন একটি লেখা নজরে আসে।
লেখাটি ছিলো- ‘…ক মি মোর’। আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটি নিয়েও শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।
এমন বার্তা দেয়া প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যতদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাবো।’
এর আগে জামিনে কারামুক্ত হওয়ার সময় ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ লিখে আলোচিত হন পরী। পরে সেই লেখার কারণও নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নতুন দুটি ছবি আপলোড করেছেন পরীমণি। সেখানে দেখা যাচ্ছে- সিগারেট হাতে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন পরীমণি। তার পরনে সাদা-কালো রঙের টপস, খোলা চুলে চোখে চশমা, পায়ে পরেছেন কেডস। সেখানেও তার হাতের ‘…ক মি মোর’ লেখাটি স্পষ্ট।ক্যাপশনে পরী লিখেছেন- ‘সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’। ঘন্টা না পেরুতেই তার সেই পোস্টে ৩৯ হাজারের বেশি রিয়্যাক্ট পড়েছে।
পোস্টটি এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি বার শেয়ার করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে জড়িয়েই বড় হচ্ছে শিশু-কিশোররা। তারা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে পটু, ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের দৃষ্টি বিদ্যমান। এমন একটি স্পর্শকাতর সময়েই হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে আঁকা ‘মিডল ফিঙ্গার’ প্রদর্শন করে ভয়াবহ অশ্লীলতার ইঙ্গিত দিয়েছেন পরীমণি। যা নিয়ে নানান মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।শিশু-কিশোররা বয়জ্যেষ্ঠ কাউকে কিছু করতে দেখে সেটি শিখে তা নিজেও প্রদর্শন করলে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে বলে মনে করছেন দেশের সচেতন নাগরিক ও অভিভাবকরা। তাছাড়া পরীমণি একজন নায়িকা হিসেবে, তিনি ‘পাবলিক ফিগারও’ বটে! তার এমন আচরণের প্রভাবে শিশু-কিশোররা অসময়ে যৌন আচরণ প্রদর্শন করার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যা আমাদের আন্ত:সামাজিক ও কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে কোনভাবেই যায় না।