নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঘটনায় জড়িতদের বাকলিয়া থানাধীন ময়দার মিল বৌ বাজার মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন,- মীরসরাই পৌর এলাকার দক্ষিণ তালবাড়িয়া এলাকার মৃত আবু জাফরের পুত্র আজিম হোসেন প্রকাশ ইমন (২৭), জোরারগঞ্জ রগুনাথপুর এলাকার মৃত মহি উদ্দীনের পুত্র মোঃ আরিফ হোসেন (৩০), একই এলাকার মো. তারেক(২২) ।
জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার নগরীর আসাদগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমান (৪২) এর কাছে কল করে আজিম হোসেন ইমন নামের একজন কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয় দেয়। কথা বলার একপর্যায়ে ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমান (৪২) কে কারখানা চালানোর বিষয়ে আয়কর প্রদান করে না মর্মে বিভিন্ন ভাবে কথা বার্তা বলতে থাকেন। এলাকায় ব্যবসা করতে হলে আয়করের টাকা বাবদ এবং কোতোয়ালী থানা এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে চাইলে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়।
অন্যথায় ব্যবসা বানিজ্য করতে দিবে না বলে হুমকী প্রদান করে। ইমন ২ ঘন্টা পর তার কাছ থেকে পুনরায় ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে কোতোয়ালী থানার ওসি পরিচয় দানকারী ইমন ব্যবসায়ী মোঃ লুৎফর রহমান (৪২)কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ একটি নগদ নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা বলে। অন্যথায় জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। বিকাশে তাদের মোবাইলে কিছুন টাকা পাঠান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ইমন পুনরায় নগদে টাকা পাঠাতে বললে তিনি বিষয়টি টহল পুলিশকে অবহিত করেন।
বিষয়টি এলাকায় টহলরত কোতোয়ালী থানা পলিশের এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরীকে জানানো হলে ঘটনার বিস্তারিত শুনে মোবাইল নম্বরগুলো সংগ্রহ করেন এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উক্ত মোবাইল নম্বরের ব্যবহারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন।
কোতোয়ালী থানার এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই মো. ইয়াসিনসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান শুরু করেন।
তারাও এছাড়াও আসামীদের বির”দ্ধে বিভিন্ন সময় থানার ওসি ও এসআই পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এর আগে কোতোয়ালী থানা, পাঁচলাইশ থানা, পতেঙ্গা থানার এসআই মিজান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদাদাবীর অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আসাদগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. লুৎফর রহমান (৪২) বাদী হয়ে রবিবার আসামীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। অভিযোগ রয়েছে চক্রটি বিভিন্ন থানায় মামলা এবং অভিযোগের খবর নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আদায় করে আসছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দীন বলেন, একটি চক্র পুলিশের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে আসছে। চক্রটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন থানার এস আই ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা দাবি করার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসি পরিচয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদাবাজির বিষয়টি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃতরা। এছাড়াও