চট্টলা ডেস্কঃ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার অনুপস্থিতিতে কোভিড-১৯ মহামারিটির মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এখনো আমরা ভ্যাকসিনের শূন্যতা দেখছি। (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারিতে ২০ লাখ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় দেয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্ব হৃদয়বিদারক একটি মাইলফলকে পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে এখন ২০ লাখ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ স্তম্ভিত সংখ্যার পেছনে অনেক নাম ও মুখ রয়েছে। অনেক হাসি এখন কেবল একটি স্মৃতি। ডিনারের টেবিলে কোনো একটি আসন শুন্য। প্রিয়জনের নীরবতায় প্রতিধ্বনিত হচ্ছে অনেকের ঘর। ’
আরো বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টার অনুপস্থিতিতে মহামারিটির মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। ২০ লাখ আত্মার স্মরণে বিশ্বকে আরও বৃহত্তর সংহতির সঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিনগুলো চালু করা হচ্ছে। জাতিসংঘ দেশগুলোকে ইতিহাসের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক টিকাদান প্রচেষ্টায় সহায়তা করছে। জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক দেশগুলোর একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। আর এখনো আমরা ভ্যাকসিনের শূন্যতা দেখছি। ’
‘ভ্যাকসিনগুলো উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। ঠিক তখনই বিশ্বের দরিদ্রতমদের কাছে মোটেও নেই। বিজ্ঞান সফল হচ্ছে, তবে সংহতি ব্যর্থ হচ্ছে। কিছু দেশ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে চুক্তি অনুসরণ করছে। আবার কোনো কোনো দেশ প্রয়োজনের বাইরেও সংগ্রহ করছে। ভ্যাকসিনগুলোর অতিরিক্ত ডোজ ভাগ করে নেওয়া প্রয়োজন। ’
‘জরুরি ভিত্তিতে বিশ্বজুড়ে সমস্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের টিকা দেওয়া প্রয়োজন। এ উদ্যোগ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ধস ঠেকাতে করতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ফ্রন্টলাইনে থাকা লোকদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। বিশ্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভাইরাস মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমাদের বিশ্বব্যাপী সংহতি জীবন রক্ষা করবে, মানুষকে রক্ষা করবে এবং এ ভাইরাসকে পরাস্ত করতে সহায়তা করবে।