নগর প্রতিবেদক :
কর্ণফুলীর নদীর ভয়াবহ দূরাবস্থা সরজনিনে দেখানোর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের সকল সাংবাদিকদের কে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) চাক্তাই রাজাখালী খালের মোহনা ও কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায় কার্যকরী না করায় এ সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলন পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ এবং এ সময় আন্দোলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মনোষ কুমার দেব।
কর্ণফুলী নদীতে জেগে উঠা চর সহ এর আশেপাশের দখলদারদের উচ্ছেদে হাইকোর্টে বিচারপতি মোহাম্মদ রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসাইন ২০১৬ সালে ৬৩০৬ নং মামালার রায় দিলেও গেল পাঁচ বছরে অদৃশ্য কারণে কোনো পদক্ষেপ কেন নেন নি সংশ্লিষ্ট সংস্থারা জানতে চান বক্তারা।এমতাবস্থায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কেন উচ্ছেদ অভিযান এখনো পর্যন্ত শুরু করেননি জানতে চেয়ে হাইকোর্টের চিঠি দেবেন বলে জানান সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান জানান, অদৃশ্য ক্ষমতাসীনদের দখলে পড়ে আজ কর্ণফুলী নদীর এই অবস্থা, নদী দখলের ক্ষমতা কারো নেই একদিন এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবেই।
এছাড়াও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যাবিদের সভাপতি ও হালদা রিভার রিচার্জ ল্যাবরেটরিতে কোটিনোডোর ডক্টর মোহাম্মদ মনজুরুল কিবরীয়া জানান, হাইকোর্টের রায়ে উচ্ছেদের নির্দেশের পরও এতদিন কেন উচ্ছেদ হয় না সেটা দুঃখজনক, এসময় তিনি কর্ণফুলী নদী কে নিয়ে পাঁচ দশ বছরের মাস্টার প্ল্যান তৈরি করারও কথা বলেন।
হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথ পালনের মধ্য দিয়ে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ খুব শিগ্রই শুরু হবে আশা প্রকাশ আশা উপস্থিত চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যরা এবং সাংবাদিকদের পাশে থাকার জন্য আহ্বানও জানান তাঁরা।