নিজস্ব প্রতিবেদক:
কূটনীতিকদের মত, ১৩ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লায় মণ্ডপে এবং মন্দিরে হামলার পিছনে মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ সরকারকে বিব্রত করা।
দুর্গা পুজো মণ্ডপে তাণ্ডবের ঘটনায় তাপ বেড়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এই পরিস্থিতিতে এবার সরকারের তরফে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগের আঙুল তোলা হল জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে।
সরকারের দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই হামলা চালায় জামাত। ঢাকা ও ভারতের নয়াদিল্লির কূটনীতিকদের মতে, ১৩ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লায় মণ্ডপে এবং মন্দিরে হামলার পিছনে মূল লক্ষ্য ছিল সরকারকে বিব্রত করা এবং ভারতের তরফে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য করা।
জানা যায়, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব প্রতিমা ভাঙার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
হামলাগুলোর বেশিরভাগই বাংলাদেশের পূর্বপ্রান্তে ত্রিপুরা লাগোয়া কুমিল্লা জেলায় ঘটেছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এবং যেসব এলাকায় সহিংসতা হয়েছে সেখানে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’