সাতকানিয়া প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউপি নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আনোয়ার আলী (৫২)।
এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের আটজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চাঁদেরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দিন টিপু ও বিদ্রোহী প্রার্থী এম ইলিয়াছ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার আলী ধর্মপুর ইউনিয়নের কুন্ডুকুল এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ধর্মপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম ইলিয়াছ চৌধুরী প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন। সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল নিয়ে চাঁদেরপাড়া এলাকায় যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন টিপু ও তাঁর সমর্থকদের মুখোমুখি হন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আনোয়ার আলীসহ উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হন। আহত আনোয়ার আলীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার কাজী সোহান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আনোয়ার আলী মারা যান। তারঁ শরীরে উল্লেখযোগ্য কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাসির উদ্দিন টিপু বলেন, আমরা কিছু কর্মী-সমর্থকসহ চাঁদেরপাড়া এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে কথা বলছিলাম। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াছ চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আমরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে প্রচারণা শুরু করি। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসির উদ্দিন টিপু ও তাঁর লোকজন আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে আনোয়ার আলী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান বলেন, প্রচারণার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনোয়ার আলী নামে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।