নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকা ও লেবানন রাষ্ট্র হিসেবে দেউলিয়া হয়েছে। উন্নয়ন করতে মেগা প্রকল্প হাতে নিলেও সকল সূচকে এগিয়ে থেকেও বর্তমান সময়ে রাষ্ট্রদূত দেউলিয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম হোটেল প্যারামাউন্ট সিটিতে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সুচিকিৎসার বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে”আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা – বর্তমান সরকারের উদ্যোগ” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ডা মুহাম্মদ মাহতাব হোসাইন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের সাবেক সভাপতি ডা. অধ্যক্ষ আব্দুল করিম।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. সালেহ আহমদ সুলেমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. অঞ্জন কুমার দাস, চট্টগ্রাম আজিজুর রহমান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত ভট্টাচার্য,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কর্মযজ্ঞ দেখতে পাচ্ছি। তবে স্বাস্থ্য খাতে যতটুকু উন্নয়ন দরকার তা অত্যন্ত অপ্রতুল। আমরা মনে করি উন্নত রাষ্ট্র করতে হলে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তবায়ন জরুরি। সেবার মানের দিক থেকে আমরা অত্যন্ত তলানীতে রয়েছি। এখনো দেশের শতকরা ৩০ ভাগ জনগণ সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। পাশাপাশি দেশের ১২ ভাগ জনগণ সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছে। সকল সরকারি জন প্রতিনিধি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে স্বাস্থ্যখাতের এই ভঙ্গুর দশা থেকে জাতি মুক্তি পাবে বলে আমরা মনে করি।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান হোমিওপ্যাথিক বোর্ড অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চিকিৎসাখাতে জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে হোমিওপ্যাথিক গবেষণায় সরকারের অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলে ব্যাপক পরিসরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে হোমিওপ্যাথি বোর্ড সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ জনগণ যেনো সঠিকভাবে সুচিকিৎসা পায়। তবে বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্যখাতে অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়। যার ফলে রোগীদের হয়রানি হতে হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য খাতে স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করা দরকার।