নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, আমরা সকলে সুরক্ষিত থাকলে বিশ্ব সুরক্ষিত থাকবে। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে হলে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ অত্যন্ত জরুরী।
বিশ্ব ও রাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া যাবেনা। যে সকল কারণে পরিবেশ দূষণ হয় তা চিহ্নিতকরণসহ সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে জণগণের কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সুস্থ জাতি গঠনের কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মচারীদেরকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরিধানের কোন বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য”।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ইপসা, বন্ধু, নিস্কৃতি, মমতা, এফপিএবি, দি লেপ্রসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল, ব্র্যাক ও ঘাসফুল’র সহযোগিতায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের আয়োজন করেন।
সভার পূর্বে সকাল ১০টায় বেলুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।
এর পর দিবসটি উপলক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিশেষ হেলথ ক্যাম্প, বøাড গ্রæপিং ও মোটিভেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র্যালি ও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডবিøইএইচও প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বা ওয়ার্ল্ড হেলথ ডে পালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। স্বাস্থ্য ও নানান সমস্যা সম্পর্কে ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে প্রতিবছর ৭ এপ্রিল এ দিবসটি পালন করা হয়। সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমেই নানান রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এসডিজির গোল অর্জনসহ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাংগীর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ শাখাওয়াত উল্ল্যাহ, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়–য়া, পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ, জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী, ফোর এইচ গ্রæপের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শওকত ওসমান ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ.এম জাহিদুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, জেলা স্বস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়া, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হেলথ এডুকেটর কাজী মাসুদুল আলম, হেলথ এডুকেটর প্রবীর মিত্র, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটু কান্তি পাল, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মোঃ নূর হোসেন, পরিচালক স্বাস্থ্য দপ্তরের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ হোসাইন প্রমূখ।