নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিএনপির স্থায়ী কার্যালয় নাসিমন ভবনের দিকে যাওয়ার সময় দক্ষিণ চট্টগ্রামের জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে আনন্দ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ সহ আট জনকে আটক করে নিয়ে গেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ সময় মিছিলটিকে ধাওয়া দিলে নেতাকর্মীরা নসিমন ভবনের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেন।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঘটনার পর পর সেখানে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতি মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলটি নেভাল এভিনিউ হয়ে নসিমন ভবনের দিকে যাচ্ছিল, পুলিশ তাদের সাথেই ছিল কিন্তু হঠাৎ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারা শুরু করে কয়েক জন। পরে পুলিশ পাল্টা ধাওয়া দিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে ছয়জনকে আটক করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন সেখানে আসা দক্ষিণ চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা। বলেন, পুলিশ তাদের মিছিল করার কোন সুযোগই দেয় নি।
এ বিষয়ে বিএনপি’র দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে জানান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম তালুকদার, আনোয়ারা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নাঈম, ইকবাল হায়দার, ফারুক সহ আরো পাঁচ ছয় জন কর্মী সমর্থককে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দীন মানিক।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর দক্ষিণ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের দুই সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দল। বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম তালুকদারকে আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা জমির উদ্দীন মানিককে সদস্য সচিব করা হয় কমিটিতে।