প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
চট্টগ্রাম নগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদ।
অনুষ্ঠানে নগরের সব যুদ্ধকালীন কমান্ডার, মহানগর ইউনিটের সব কর্মকর্তা, সব থানা কমান্ডারসহ সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল-হারুন, ডা. মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহাম্মদ হোসেন, সাহাবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আবু সাঈদ সর্দার, জাহিদ হোসেন, এম এনামুল হক চৌধুরী, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডারসাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, সহকারী কমান্ডার আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদুর রহমান সিদ্দিকী, ওসমান গণি, মো. হারিছ, শওকত হাফিজ খান রুমু, অরুণ দাশ, এসএম জাগির হোসেন মিজান, নুরুল বশরসহ বিভিন্ন থানা কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, সহকারী কমান্ডার ও সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
অনুষ্ঠানে নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহম্মদের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের হাতে স্মৃতিস্বরূপ একটি ছবি তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ।তাঁদের সম্মান করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বিভিন্ন সম্মাননা ও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুজিব শতবর্ষে আজ তাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার মধ্যে দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে। এ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন ও সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।