নিজস্ব প্রতিবেদক:
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মাজেদকে দায়িত্ব পালন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ওই জায়গায় নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে। তিনি আগে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (কারিগরি ক্যাডার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৫ নভেম্বর পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মো. আলতাফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পেট্রোবাংলার আদেশে বলা হয়েছে, রফিকুল ইসলামকে চলতি দায়িত্ব হিসেবে কেজিডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কোনো কর্মকর্তা, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি পদায়ন করা হলে রফিকুল ইসলাম পূর্বের পদে ফিরে যেতে পারবেন।
জানা গেছে, এমএ মাজেদকে ওএসডি করে পেট্রোবাংলায় আনা হয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। শিগগিরই বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।
আরও জানা গেছে, আইন অমান্য করে মেসার্স মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্স লিমিটেড (গ্রাহক সংকেত শিল্প-৫১৫১) আবেদনের ১ দিন পর ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর সংযোগ প্রদান করেন এমএ মাজেদকে। কিন্তু ৫ কোটি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বকেয়ার কারণে মোস্তফা পেপার কমপ্লেক্সের একটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নিয়ম রয়েছে ৫০ শতাংশ বকেয়া পরিশোধের পর পুনঃসংযোগ দিতে পারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কোনো টাকা আদায় না করেই এই পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মেসার্স ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেড (গ্রাহক সংকেত ৮০৬৫) নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সংযোগ প্রদানে এমএ মাজেদের জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে।
মেসার্স সায়মা সামিরা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড (সাদ মুছা গ্রুপ) নতুন সংযোগের আবেদন পর্ষদের সভার পূর্বেই ওই গ্রাহকের অনুকূলে চাহিদাপত্র ইস্যু করাসহ এমএ মাজেদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তদন্ত কমিটি।