নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ ৭ বছর বয়সী আয়াতের লাশ ৬ টুকরো করে ফেলেছে অপহরণকারী। মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে প্রথমে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর ফেলে দেওয়া হয় নদীতে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবির আলী (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা ।
গ্রেপ্তারকৃত আবির আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। তিনি নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘১৯ বছর বয়সী আবির গার্মেন্টে চাকরি করত। আবির আয়াতের দাদার বাসার ভাড়াটিয়া ছিল। ভাড়া থাকাকালীন সময় সে আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। কিছুদিন আগে আয়াতের দাদার বাসা ছেড়ে অন্যত্র বাসা নেয়।’
তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’
জিজ্ঞাসাবাদের আবির জানায়, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করে। খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব পুলিশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে, তবে মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।