তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আয়োজিত হয়েছিলো পৃথিবীর অন্যতম ট্যাকনোলজি সামিট “হ্যালো টুমোরো ” গ্লোবাল সামিট ২০২৩। এতে বিমানের নতুন সিস্টেমের ইঞ্জিন প্রদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
হ্যালো টুমোরো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি গুলোর অংশ গ্রহনে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ “গ্লোবাল সামিট” এর আয়োজন করে। এই ফেয়ার পৃথিবীর সবচেয়ে অগ্রসর ডিপ টেক কোম্পানি গুলোর মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরী করে থাকে। এতে পৃথিবীর প্রধান সারির বিজ্ঞানী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাগণ অংশ নেয়। এই বৃহৎ আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হয় চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সালাউদ্দিন এর প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত কোম্পানি “ওপেন ইনডাকশন্স “কে (Open Inductions)।
ওপেন ইনডাকশন্স আস্ট্রেলিয়ার একটি ডিপ টেক কোম্পানি। বিমান শিল্পে বিশেষ ভূমিকা রাখার সম্ভাবময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদেরকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওপেন ইনডাকশন্স এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মাদ সালাউদ্দিন ও তার টিম বিমানের নতুন ইঞ্জিন ” হাইব্রিড অপারেশনাল প্রোপালশন ইঞ্জিন”টি তৈরী করেছে।
এই ইঞ্জিন বিমান শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। টেকনোলজি বিমান ইন্ডাস্ট্রির এডভান্স টেকনোলজি বলে দাবি কোম্পানিটির। এটি হাই এফিয়েসেন্সি সম্পন্ন যা জ্বলানী ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনেযা পরিবেশ বান্ধব এবং সাশ্রয়ী। এই বিশেষ নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিন প্রদর্শনের জন্য ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন ও তার প্রতিষ্ঠান “ওপেন ইনডাকশন্স ” হ্যালো টুমোরো গ্লোবাল সামিট ২০২৩ এ অংশ গ্রহন করেন।
তিনি তার এক সাক্ষাৎকারে নতুন তৈরী ইঞ্জিন নিয়ে বলেন, ” বিমানশিল্প একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গাড়ী ইন্ড্রাস্ট্রী যেভাবে ইলেক্ট্রিফাই হয়েছে , ঠিক তেমনি এয়ারলাইনস ইন্ড্রাস্ট্রীও সেদিকে আগাচ্ছে। বিমান প্রস্তুতকারী কোম্পানি গুলো নতুন কোন প্রযুক্তি যুক্ত করতে পুরোপুরি নতুন ভাবে বিমানকে তৈরী করে থাকে। এক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি সম্পন্ন বিমান তৈরী করা ব্যায় বহুল হয়। এতে করে আমিরাত, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া ইত্যাদি দেশের বিমান ক্রয়ে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়।
তিনি জানান, সেই জায়গা ওপেন ইনডাকশনের সলুশ্যন হলো “হাইব্রিড অপারেশনাল প্রোপালশন ইঞ্জিন। “এটি রেট্রো-ফিটেবল এবং বর্তমানে যে ন্যারো বডি এয়ারলাইন্স আছে তাতে এই ইঞ্জিন ব্যবহার করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ” ইঞ্জিনে প্রোপালশন সিস্টেম থেকে পাওয়ার সিস্টেম আলাদা করা হয়েছে।যার ফলে এখনকার ইঞ্জিন থেকে বেশী সক্ষমতা সম্পন্ন। এই ইঞ্জিন বিকল্প জ্বালানি যেমন হাইড্রোজেন, ইলেকট্রিক ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারবে এবং বর্তমানে যে জেট জ্বালানি ব্যবহার হয় তা অনেকটা কমিয়ে আনবে।
এই ইঞ্জিন শুধু বর্তমান যে প্রোপালশন সিস্টেম আছে যেমন টারবো ইঞ্জিন, শুধু তার জন্যই নয় বরং আগামীতে যে সব ইঞ্জিন আসছে যেমন ওপেন ইঞ্জিন তাতেও এই ইঞ্জিনের ডিজাইন ব্যবহার করা যাবে।” ওপেন ইনডাকশনস যে সল্যুশন নিয়ে এসেছে তা শুধু এখনকার জন্যই নয় বরং আগামীর জন্যও এটি অন্যতম সল্যুশন। ওপেন ইন্ডাকশনস আগামীতে আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি পৃথিবীর সামনে আনবে।
পৃথিবীর তথ্য প্রযুক্তিকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম কে পৃথিবীর সামনে আরো নতুন পরিচয়ে পরিচিত করা যাবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।