৭ কার্য দিবসের মধ্যে সিডিএ কাছে জবাবদিহিতা চায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
চট্টলা ডেস্ক :
সম্প্রতি পরীর পাহাড়ে আইনজীবীদের ৫টি ভবন কিভাবে নির্মাণ হয়েছে সে বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কাছে জানতে চেয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
জমির মালিকানা নিশ্চিত না হয়ে সিডিএ কিভাবে নকশা অনুমোদন দিয়েছে কিংবা দিতে পারে কি না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চেয়েছে সরকারী এই সংস্থাটি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বক্তব্য, জামির মালিকানা নিশ্চিত না হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের নকশা অনুমোদন দেওয়ার কর্তৃত্ব কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই।আজ ৩ অক্টোবর, রবিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহবুমুদুর রহমান হাবিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে।
যদিও পেশাজীবী সংগঠন আইনজীবী সমিতির বিরুদ্ধে পরীর পাহাড়ের এক একর ২৪ শতক জায়গা অবৈধ দখলের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কাগজে কলমে মাত্র ১২.৯০শতক জমি লিজ নিলেও চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি দখল করেছে এক একর ৩৭ শতক জমি ।
শুধু তা নয় ১৯৭৭ সালে ১২.৯০শতক জমি লিজ নেয়ার পরে দীর্ঘ ৪৪ বছরে ওই জমির হালনাগাদ কোনো খতিয়ান করা তো দূরের কথা খাজনাও দেয়নি।অভিযোগ আছে, বর্তমানে আইনজীবী সমিতির নির্মিত পাঁচটি ভবনের মধ্যে চারটিই সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনজীবী ভবন নামে ভবনটি নির্মিত হয়েছে লিজ নেয়া জমি থেকে ০.১৭১০ একর বেশি জমিতে- আইনজীবী সমিতির নামে এসব অভিযোগ তুলেছেন খোদ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আইনের বিষয়গুলোর বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তির বা সংস্থার আইনি সমস্যার সমাধান করা আইনজীবীদের কাজ হলেও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি পরীর পাহাড়ে অবৈধ জায়গা দখল করে নিজেরাই সৃষ্টি করেছেন সমস্যা।এদিকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির তৈরি করা ৫টি ভবনের মধ্যে ৪টি ভবনই নির্মিত হয়েছে সরকারি খাস জমিতে। নেয়া হয়নি লিজও।
‘আইনজীবী ভবন’ নামে একটি ভবন নিমার্ণে ১৯৭৭ সালে ৩০ ডিসেম্বর আরএস প্লট নম্বর ২৩৫৫(পি), ২৩৫৬(পি), ২৩৫৭(পি), ২৩৫৯(পি), ২৩৬০(পি) দাগমূলে আইনজীবী সমিতি সরকারের কাছ থেকে ০.১২৯০ একর (১২.৯০শতক)জমি লিজ নিলেও ওই ভবনের ও আশেপাশের দখলকৃত জমির পরিমাণ ০.৩০০০একর। যা লিজ নেয়া জমি থেকে ০.১৭১০ একর বেশি।সুতরাং কোনো প্রকার লিজ ছাড়াই সরকারি খাস জমিতে তৈরি করা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। পরীর পাহাড়ে নির্মাণাধীন আইনজীবী সমিতির অন্য ভবনগুলোর মধ্যে দোয়েল ভবন(দখলকৃত জমির পরিমাণ ০.২৪০০ একর বা ২৪শতক), শাপলা ভবন(দখলকৃত জমির পরিমাণ ০.১৮০০একর বা ১৮শতক), এনেক্স ভবন—১ (দখলকৃত জমির পরিমাণ ০.২৫০০একর বা ২৫ শতক), এনেক্স ভবন—২(দখলকৃত জমির পরিমাণ ০.৩৩০০ একর বা ৩৩শতক) এবং আইনজীবী ভবনের জন্য ১২.৯০শতক জমি লিজ নিলেও ভবন নির্মাণ হয়েছে ৩৩ শতকে(দখলকৃত জমির পরিমাণ ০.৩৩০০একর বা ৩৩শতক)।
অপরদিকে, তৎকালীন সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদেশক্রমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মাত্র ১২.৯০শতক জমি লিজ দেন আইনজীবী সমিতিকে। সে লিজের অনুকূলে আইনজীবী সমিতি বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে দখল করে নেয় ১একর ৩৭ শতক জমি যা লিজ দেয়া জমির চেয়ে ১ একর ২৪ শতক বেশি।
এছাড়াও অভিযোগ আছে, ১৯৭৭ সালে ১২.৯০শতক জমি লিজ নেয়ার পরে দীর্ঘ ৪৪ বছরে ওই জমির হালনাগাদ কোনো খতিয়ান করেনি আইনজীবী সমিতি। জমা দেয়নি খাজনাও।