নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের এক ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের নির্দেশ দেওয়ার পর তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান সেই ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট ) প্রায় আট মাস পর সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়।
হাইকোর্ট ওই রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া দুদক কোনো নাগরিকের সম্পত্তি জব্দ কিংবা ক্রোকের আদেশ দিতে পারে না।
প্রকাশিত ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘কোন সম্পত্তি অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে যদি অভিযোগ থেকে থাকে, তবু সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি ব্যতীত কেউ, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনেরও ক্ষমতা নেই দেশের নাগরিকের সম্পত্তি জব্দ কিংবা ক্রোকের আদেশ দেওয়ার। তবে যদি প্রাথমিকভাবে এটা প্রতীয়মান হয় যে, এই সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে, সেক্ষেত্রে দুদকের আইনগত পদক্ষেপ নিতে এই রায় বাধা হবে না।’
এর আগে দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন গত ৬ জানুয়ারি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপককে ফার্মেসি ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন। ওই ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেলায়েত হাইকোর্টে রিট করেন।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। আদালত তার রুলে বেলায়েতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দুদকের ওই উপ-সহকারী পরিচালকের দেওয়া নির্দেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান।
গত ২৩ জুন এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২৭ জুন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। সেই রায়ের পূর্নাঙ্গ অনুলিপি আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।