আইন আদালত ডেস্ক :
রাজধানী ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন নুরুল আবছার পারভেজ (৩৫) নামের এক গ্রাহক।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন গ্রাহক পারভেজ সহ আরও দুই তরুণ ব্যবসায়ী।
প্রতারণার মাধ্যমে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ, নাজমুল হাসান রাসেল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা ও আমানুল্লাহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ আরও বলেন, ‘ই-অরেঞ্জ সারা দেশে কয়েক লাখ গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছে। চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও দু-দিন আগে প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রতারিতদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাব।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২৭ মে’র পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন এই গ্রাহকসহ আরও দুই তরুণ। নির্দিষ্ট সময়ের পরও ই-অরেঞ্জ কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি এসব গ্রাহকদের। অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়।
এভাবে তারা গ্রাহকদেরকে পণ্য সরবরাহ না করে দেশের প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৭ টাকা পাওনা রয়েছে।