নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগে বড় ভাই ও ভাবীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় ভুজপুর থানাধীন শান্তিরহাট ছোট বেতুয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-উপজেলার সফরভাটা এলাকার মৃত উকিল আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৫) ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম শামীম (৪০)।
র্যাব জানায়, গত ৯ এপ্রিল বিকেল ৫টায় বসতবাড়ির সীমানা পিলার নির্ধারণ নিয়ে ছোট ভাই জানে আলম ও বড় ভাই খোরশেদ আলমের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ভাবী খালেদা ও তার বড় ভাই খোরশেদ লোহার সাবল দিয়ে জানে আলমের মাথায় আঘাত করে। আঘাত পেয়ে চিৎকার দিয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়লে খোরশেদ আলম লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এসময় জানে আলমের স্ত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানে আলমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নুরুল আবছার বলেন, এ ঘটনায়ে র্যাব রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভুজপুর থানাধীন শান্তিরহাট ছোট বেতুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী খালেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার খোরশেদ জানান, তার ছোট ভাই জানে আলম দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন কষ্টার্জিত টাকা তার কাছে পাঠাত। পরবর্তীতে জানে আলম দেশে ফিরে আসার পর তার ভাই খোরশেদ আলমের কাছে বিদেশ থেকে পাঠনো টাকা ফেরত চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।
মূলত এ কারণে বিরোধ ছিল। বিরোধ পছন্দ না করায় জানে আলম আলাদা বাড়ি করে বসবাস শুরু করছিল। গত ৯ এপ্রিল তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করে খোরশেদ ও তার স্ত্রী। তাদেরকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।