আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে, দেশ দুটিতে মোট ৪ হাজার ৯৮৩ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তুরস্কে ৩ হাজার ৩৮১ জন এবং সিরিয়ায় মারা গেছেন এক হাজার ৬০২ জন। আর আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রতিবেশী তুরস্কে দুটি মারাত্মক ভূমিকম্প ও পরপর আফটারশকের কারণে বাশার আল আসাদ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ৮১২ জন নিহত হয়েছেন। আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা, ইদলিব ও তার্তুস প্রদেশে এক হাজার ৪৪৯ জন আহত হয়েছেন। এই মৃত্যুর মিছিলের সংখ্যা বিশ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কর্মরতরা ৭৯০ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে। তবে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে জানা গেছে।তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ জানিয়েছে, দুই দিনে মোট ৩ হাজার ৩৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা ওরহান তাতার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে ২৩ হাজার ৪০০ কর্মী যোগ দিয়েছেন। ১০টি প্রদেশে ৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল তুরস্কে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের বহু দেশ সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।