চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আউটার স্টেডিয়াম নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা হলো শুধুমাত্র খেলাধুলা জন্য উন্মুক্ত করা। এটি চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ এখন আমাদের। আজকে আমরা সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করেতে যাচ্ছি। যতদ্রুত কাজ শেষ করা যায় তার জন্য চেষ্টা চলছে। মাঠটি সবুজ ঘাস দিয়ে সাজানো হবে। দু’য়েক মাসের মধ্যে এখানে সুন্দর একটি মাঠ হবে আশা করা যায়। সেখানে এখানকার ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারবে।
বুধবার(৩ মে)সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আউটার স্টেডিয়ামে ফেন্সিং কাজের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা(সিজেকেএস) সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খেলার উপযোগী একটি মাঠ তৈরী করাই এখন কাজ, যেখানে জেলা পর্যায়ে ফুটবল- ক্রিকেট সেকেন্ড এবং থার্ড ডিবিশনের খেলা হবে এই মাঠে। খেলার প্র্যাকটিসও এ মাঠে করা হবে। এছাড়া ব্যান্ডবল , বলিবল এই খেলাগুলো মাঠে করার পরিকল্পনা আছে। তবে এইসব প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা, শীঘ্রই চূড়ান্তভাবে পরিকল্পনা করা হবে। এছাড়া মাঠটি সাধারণ মানুষের জন্য করা হবে। এরই লক্ষ্যে বসার জন্য এবং হাঁটার জন্য জায়গা করা হবে। যাতে করে সাধারণ জনগণ সকাল-বিকাল হাঁটতে পারে এই মাঠের সীমানা ঘীরে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমরাও জানতাম না আমাদের সীমানা কতদূর। মাঠটা নিয়ে আগে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) কথা বলেনি। কারণ, এই মাঠ নিয়ে অনেক ঝামেলা ছিলো। জেলা প্রশাশকের সহোযোগীতায় প্রথমবার মাঠটি পরিমাপ করা হয়েছে। সেখানে আউটডোর স্টেডিয়াম পরিমাপের ভেতর। সিজেকেএসের জায়গা যতটুকু ঠিক ততটুকু কাজ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এ সময় কাজের অগ্রগতি নিয়ে সিজেকেএসের সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে নকশার ড্রয়িং হাতে পেয়েছি। আজ থেকে মাঠের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হলো মাত্র।
উল্লেখ যে , গত ১৯ মার্চ আউটার স্টেডিয়ামের দুই পাশে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় ১৫-২০টি স্থায়ী ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়।