চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই। এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করার মাধ্যমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য আমাদের সকলের নিজ নিজ কর্মস্থল, বাড়ী-ঘর ও আঙ্গিনা নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতার বিকল্প নেই। নর্দমায়, নোংরা ও ময়লা পানিতে এডিশ মশা ডিম পারেনা। ঘর ও আশপাশের যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিস্কার করলে এডিস মশার লার্ভা মরে যায়। এয়ার কন্ডিশনার, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ার, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী শেল ও পরিস্কার পানিতে এডিস মশা ডিম পারে। জীবন বাঁচানোর জন্য যেকোন উপায়ে এডিস মশা ধ্বংস করতে হবে।
৭ আগস্ট শনিবার বেলা ১২টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনের অঙ্গিনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে আয়োজিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে। শরীরে জ্বর দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। জ্বরে প্যারাসিটামল ব্যতিত অন্য কোন ব্যাথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবেনা, রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা পরিস্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। বাঁচতে হলে এডিস মশাসহ অন্যান্য মশা নিয়মিত নিধন করতেই হবে। ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্বক হতে পারে। মহামারী করোনার সাথে যাতে ডেঙ্গুর প্রভাব বিস্তার না ঘটে সে ব্যাপারে প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। যে কোন উপায়ে এডিস মশা ধ্বংস করে আমাদেরকে জয়ী হতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমও সিএস ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, এমও ডিসি ডা. মোহাম¥দ নুরুল হায়দার, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়ুয়া, জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদৌস, পিএটু সিভিল সার্জন মফিজুল আলম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তাপস কুমার রায় চৌধুরী, পরিসংখ্যানবিদ গীতাউশ্রী দাশ, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার গাজী মো ঃ নুর হোসেন, হেলথ এডুকেটর কাজী মাসুদ, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিটু পাল, স্বাস্থ্য সহকারী একরামুল হক চৌধুরী, অফিস সহকারী সাজেদা বেগম, অফিস সহকারী শিখাশ্রী দত্ত, এন্টো টেকনিশিয়ান মোঃ মাঈনুদ্দিন প্রমূখ।